সরকারকে ফ্যাসিবাদি বলার আগে বিএনপিকে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাহলে দেখতে পাবেন নিজেরাই ফ্যাসিবাদের উত্তরাধিকার বহন করছে এবং তাদের মাঝে বিরাজ করছে ফ্যাসিবাদি মানসিকতা।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বিএনপির অবাধ মিথ্যাচার ফ্যাসিবাদি মানসিকতার অংশ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপির শাসনামলে তারাই ফ্যাসিবাদি চর্চা করেছিলো। সরকার ব্যর্থতা আড়াল করতে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার দমন-পীড়নে বিশ্বাসী নয়, গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকার সবসময় স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, বিএনপি এমন রাজনৈতিক দল, যারা গত তেরো বছরে সরকারের একটি সফলতাও দেখতে পায়নি, শুধু দেখেছে কথিত ব্যর্থতা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, বিআরটি, সারাদেশে ২২টি ফ্লাইওভার, ২০টির মতে আন্ডারপাসসহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ তাদের চোখে পড়ে না। এসব উন্নয়ন দেখে আসলে বিএনপির গাত্রদাহ হয় বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের। শতভাগ বিদ্যুৎ সারা দেশে পৌঁছেছে- এটাও বিএনপির বিদ্বেষের কারণ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ২২২৭ ডলার মাথাপিছু আয়, এই বিস্ময়কর অগ্রগতি বিএনপির সহ্য হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিএনপি নেতারা মনের শান্তি ও স্বস্তি খোঁজেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিন্তু তারা নিজেদের ব্যর্থতা চিহ্নিত করার কোন উদ্যোগ বা প্রয়াস চালান না। কর্মী-সমর্থকদের ধাঁধার মধ্যে রেখে নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে চায় বিএনপি, সার্বক্ষণিক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে অথচ তারা বলে তাদের কথা বলার সুযোগ নাকি কম আসছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন তাদের বক্তব্য পত্রিকায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় আসছে, সংসদে আসন সংখ্যা অনুযায়ী প্রাপ্ত সময়ের বেশি সময় দেওয়া হচ্ছে- তাও বলে কথা নাকি কম দেওয়া হচ্ছে? ওবায়দুল কাদের বলেন, কথা বলার সুযোগতো অবারিত ছিলো, বিএনপি মহাসচিব বাইরে চিৎকার করারও প্রয়োজন ছিলো না। তিনি সংসদে গিয়ে কথা বলতে পারতেন, কিন্তু নির্বাচিত হয়েও সংসদে না গিয়ে ফখরুল সাহেব দ্বিচারিতা করেছেন।